
বর্তমানে কম দামী গাড়ি হোক কি হাই এন্ড গাড়ি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার জন্য Airbag দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় পড়লে গাড়ির যাত্রিদের প্রাণ রক্ষা করতে এয়ারব্যাগের জুড়ি নেই। তবে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় যে, এয়ারব্যাগ প্রয়োজনের সময় খোলে না। এই ঘটনার বড় উদাহারন টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রীর গাড়ি দুর্ঘটনা।
টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রী মারা যান গাড়ি দুর্ঘটনায়। সেখানে তার গাড়িতে থাকা এয়ারব্যাগ কাজ করেনি। তারপর থেকেই গাড়ির এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাবস্থাটি নিয়ে মানুষ বিশেষ ভাবে সজাগ হন। আজ আমরা আপনাদের Airbag সম্পর্কে জানাতে চলেছি। কীভাবে কি কাজ করে পুর বিষয়টা দেখে নেওয়া যাক চলুন।
গাড়িতে যে Airbag থাকে তা আসলে নাইলন জাতীয় কাপড় দিয়ে তৈরি।দুর্ঘটনা হলে বিশেষ সেন্সর সেই ব্যাগ গুলোতে নাইট্রোজেন ভর্তি করে জান বাঁচায় চালক সহ যাত্রীদের। উল্লেখ্য, Airbag খোলার জন্য কোনও সুইচ বা বাটন নেই। কিন্তু দুর্ঘটনা হলে নিজের থেকেই খুলে যায় এয়ারব্যাগ। স্টিয়ারিং হুইলের নিচে থাকা ইনফ্লেটার সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ঘণ্টায় 320 কিমি বেগে এয়ারব্যাগ ফুলে ওঠে।
এয়ারব্যাগ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলে বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি, মেইনটেনেন্স না করা ইত্যাদি কারণে বিপদের মুহূর্তে খোলেনা Airbag। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কেন খোলে না গাড়ির এয়ারব্যাগ।
১) সিটবেল্ট না পরলে খুলবে না এয়ারব্যাগ। সিট বেল্ট থেকে সংকেত পাওয়ার পরই সেন্সর সক্রিয় হয়। উল্লেখ্য টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রীও সিটবেল্ট পরে থাকেননি তাই তাঁর গাড়ির এয়ারব্যাগ খোলেনই।
২) সামনে ভারি কিছু ইন্সটল করার কারণে আবার গাড়ির সেন্সর সঠিক ভাবে কাজ করে না। তাই এক্ষেত্রেও এয়ারব্যাগ খোলেনা।
৩) আপনার গাড়িতে নিম্ন মানের Airbag থাকলে সেটিও আপনাকে বাঁচাতে পারেনা। এধরনের এয়ারব্যাগ থাকার পরেও আপনার মৃত্যু হতে পারে।
৪) সঠিক সময়ে মেইনটেনেন্স না করা এবং যান্ত্রিক ত্রুটি খেয়াল রাখুন।
৫) এছাড়া চালকের ভুলেও নাও খুলতে পারে Airbag।